আগামী বছরের বিশ্বকাপ কি ভারত থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে? একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না এমন সম্ভাবনা। আইসিসি চাইলে এমনটা করতেই পারে। কর ছাড় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আইসিসি এক দিনের বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় কর ছাড় চায়। কিন্তু সেটা নাও মানতে পারে ভারত সরকার।একই সমস্যা হয়েছিল ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়। শেষ পর্যন্ত তা মিটে গিয়েছিল।
ভারতে ২০২৩ সালে একদিনের বিশ্বকাপ হওয়া কথা।সেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে আইসিসি-র পক্ষ থেকে ভারতীয় বোর্ডের কাছে কর ছাড়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। ভারতীয় বোর্ড সেই ব্যবস্থা করতে পারবে কি না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভারত সরকার কর ছাড়তে রাজি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল।সে বারও আইসিসি চেয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যাতে কর ছাড়ের ব্যবস্থা করুক। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তাতে যদিও ভারতে বিশ্বকাপ আয়োজনে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি।
বোর্ডের এক কর্তা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে এই কর ছাড় নিয়ে আইনি লড়াই হতে পারে। কর দেওয়া নাগরিকদের কী বলবে সরকার? যে খেলা এত টাকা নিয়ে আসে সেই খেলার জন্যই কর ছাড় চাওয়া কি সম্ভব? এটা হতে পারে? সরকার এই সম্পর্কে কোনও কিছু বলবে না।”
কর ছাড় দেওয়া না হলে আইসিসি কী করতে পারে? ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার সামনে খোলা থাকবে তিনটি রাস্তা। আইসিসি তার অন্য সদস্যদের বোঝাতে পারে যে কর ছাড়ের প্রয়োজন নেই। অথবা ভারতকে বলতে পারে যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার প্রয়োজন নেই। অন্য দেশে হবে বিশ্বকাপ। নয়তো, ২০১৬ সালের মতো কর বাবদ যে টাকা হবে সেটা বিসিসিআইয়ের প্রাপ্য থেকে কেটে নেবে।
প্রসঙ্গত, সেই বিশ্বকাপে পাকিস্তান খেলবে না বলে জানিয়েছিল ভারতে খেলা হলে।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ বলেছিলেন যে, এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান যাবে না ভারত। জয় শাহ এটাও বলেছিলেন যে, পাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ অন্য দেশে সরিয়ে দেওয়া হবে। এর পরেই রেগে যায় পাকিস্তান। সে দেশের বোর্ড প্রধান রামিজ় রাজা বলেছিলেন যে, রোহিত শর্মারা পাকিস্তানে খেলতে না এলে, বাবর আজ়মরাও ভারতে যাবে না বিশ্বকাপ খেলতে।
