Advertisement
রাজ্য

ওএমআরে ৩, এসএসসির সার্ভারে নম্বর ৫০! পি সি সরকারের ম্যাজিক? প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

আগেই অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করেছিল সিবিআই নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়  এ বার সেই সূত্রেই স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর বক্তব্য জানতে চাইলেন।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে দেখা গিয়েছিল, অনেক চাকরিপ্রার্থী উত্তরপত্রে (ওএমআর শিট) ১-২ করে নম্বর পেলেও কমিশনের সার্ভারে সেই নম্বরই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০-এরও বেশি। পর্যবেক্ষণ এই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের,উত্তরপত্রে ৩ নম্বর আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে নম্বর বেড়ে হয়েছে ৫৩! পিসি সরকার জুনিয়র না সিনিয়িরের ছোঁয়ায় হঠাৎ এত নম্বর বেড়ে গেল, তা কমিশনের আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি।

আদালত জানতে চেয়েছে শুক্রবার ওএমআর শিট বিকৃতি নিয়ে কমিশনের বক্তব্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় চার দিনের মধ্যে কমিশনকে উত্তর জানাতে বলেছেন। উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, গাজিয়াবাদের সার্ভার থেকে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বেশ কিছু উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। ওই উত্তরপত্র গুলি যাচাই করে দেখা গিয়েছে অনেকেই ওএমআর শিটে এক বা দুই নাম্বারের উত্তর দিয়েছে কিন্তু তারা নম্বর ৫০ এরও বেশি পেয়ে গেছে।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এ-ও দাবি করে, এসএসসি-র ওই হার্ড ডিস্ক তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।

সিবিআই কিছুদিন আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাশে তথ্য দেয়, যে ওই ওএমআর সিটগুলো উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে ১০ জন পরীক্ষার্থী শূন্য পেয়েছে। কিন্তু ৫৩ নম্বর দেয়া হয়েছে তাদেরকে কমিশন সার্ভারে।বাকিরা যাঁরা ১ বা ২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের কারও নম্বর ৫১, কারও ৫২। তালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকা এমন ২০ জন প্রার্থীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ৯ নম্বর বেড়ে ৪৯ হয়েছে। মামলাকারী সেতাবউদ্দিনের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে দাবি করেন, আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। কিছু চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ যে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়েছে, তা আদালতে স্বীকার করে নেয় কমিশনও।

হাইকোর্ট কমিশনকে চল্লিশটি ওই ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলেছিল নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলায়। সেখানে দেখা গিয়েছে প্রচুর চাকরি প্রার্থীর নম্বর বৃদ্ধি হয়েছে।তাঁদের মধ্যে বারো জন শিক্ষক তাঁদের ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের সমর্থনে আদালতে আবেদন করেন। তাঁদের মামলায় যুক্ত করে একত্রে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.