আজ রবিবার রাজস্থানে প্রবেশ করবে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। আগামী বছর ২০২৩ সালে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজস্থান কংগ্রেস আশা করছে ভারত জোড়ো যাত্রা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উষ্মা কমাতে পারে। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোত এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের মধ্যে বিরোধ সাধারণ মানুষের কাছে সুপরিচিত।
আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জন আক্রোশ যাত্রাও শুরু করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় ভারত জোড়ো যাত্রা রাজস্থান কংগ্রেসের জন্য কীভাবে উপকারী হতে পারে?
রাজস্থানে শচীন পাইলট উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর থেকেই কংগ্রেসের উদ্বেগ বেড়েছে। পরের বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ায় এবং দলের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে দুটি গোষ্ঠীকে একত্রিত করার একাধিক প্রচেষ্টা বিফল হয়েছে। রবিবার ঝালাওয়ার থেকে রাজস্থানে ভারত জোড়ো যাত্রার প্রবেশ হবে।
ভারত জোড়ো যাত্রা রাজস্থানে ১৭ দিন থাকবে। এই সময়ে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করা হবে। ভারত জোড়ো যাত্রা রাজস্থানের অনেক শহরের মধ্য দিয়ে যাবে। কংগ্রেস নেতৃত্ব শুধু ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন নয়, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্যও ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে নিজদের জমি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাজস্থান কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রার সাহায্যে রাজ্যে রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই কারণেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ঘাঁটি হাড়োতি থেকে ভারত জোড় যাত্রা বের করার পরিকল্পনা রয়েছে। কংগ্রেস ঝালাওয়ারের বিধানসভা আসনগুলিতে ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতে চায়।