আলিপুরদুয়ার আদালতসোনার দোকানে চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আর তৃণমূল সেই ঘটনাকে সামনে রেখে প্রচার চালাচ্ছে। এ বার তুফানগঞ্জে ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগান তুলে মিছিল করলেন জোড়াফুল শিবিরের নেতা-কর্মীরা। নিশি তৃণমূলেরই কর্মসূচি দেখে বলেছেন ,তিনি আইন কে সম্মান করেন।
নিশীথের গ্রেফতার ও তার পদত্যাগের দাবি তুলে, তৃণমূল কত কয়েক দিন ধরেই মিছিল ও পথসভা সহ নানা কর্মসূচি চালাচ্ছে। গোটা জেলা জুড়ে চলছে পোস্টার দেওয়াও। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মঙ্গলবার এই ছবি দেখা গেল।সেখানে নিশীথের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করা হয়। পাশাপাশি পদত্যাগের দাবি তোলা হয়।তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক আমাদের লজ্জা। সোনার দোকানে চুরির মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত পরোয়ানা জারি করেছে। সেই পরোয়ানার পরোয়া না করে, আদালতে হাজির না হয়ে মন্ত্রী দিল্লি, দেশবিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উনি সাংসদ হওয়ার পর কোচবিহারের মানুষ ওঁর দেখাও পান না। তাই রাসমেলা মাঠে তাঁর ছবি লাগিয়েছি যাতে সাধারণ মানুষ দেখতে পান আমাদের সাংসদকে।’’
তৃণমূল এই আন্দোলনকে আগামী দিনে কোচবিহারে ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছে।তৃণমূলের এই ‘আগ্রাসন’কে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছেন না নিশীথ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর যুক্তি, ‘‘রাজনীতিতে বিভিন্ন মামলা, মিথ্যে মামলা এই সব হয়ই। যাঁরা বলছেন তাঁদের প্রত্যেকের নামেও বিভিন্ন মামলা রয়েছে। রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকের নামে মিথ্যে মামলা হয়ে থাকে। আমি বলব, এটা রাজনীতির একটা খারাপ দিক।’’ এমনকিনিশীথ আরও বলেন, ‘‘আমি বলব, আইন যা বলবে তা মেনে চলতেই হবে। আইনকে প্রত্যেকের সম্মান করা উচিত। আমি নিজেও করি।’’
নিশীথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালতআলিপুরদুয়ারে দু’টি সোনার দোকানে চুরির ঘটনায়। ২০০৯ সালে এই দুটো চুরির ঘটনাই হয়েছিল।নিশীথ সাংসদ হওয়ার পরে, ওই মামলা দু’টি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে সাংসদ-বিধায়কদের আদালতে চলে যায়। কিন্তু আবার সেই মামলা দু’টি ফেরত আসে আলিপুরদুয়ার আদালতে।