সংকটে দিল্লি। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজধানীর ৮০ শতাংশ পরিবার বায়ু দূষণ সংক্রান্ত অসুস্থতায় ভুগছে। সমীক্ষার রিপোর্টের দাবি, গত কয়েক মাসে দিল্লির একাধিক পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা আলাদা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিনে দূষণের সূচকে তা ধারাবাহিক ভাবে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা পাচ্ছে। শনিবার রাজধানীর ‘বাতাসের গুণমানের সূচক’ (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ‘অতি ভয়াবহ’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় অবিলম্বে এই দূষণ কমার কোনো সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছেন না পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
দূষণের কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি এবং চোখ জ্বালার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শ্বাস নিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দিল্লিবাসিকে। এ ছাড়াও, মাথাব্যথা, ঘুম না হওয়া, কোনও কাজে মন দিতে না পারা কিংবা অনাবশ্যক অস্থিরতার মতো উপসর্গেও ভুগছেন কেউ কেউ।
এই দূষণের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক মানুষরা। শিশুদের ক্ষেত্রেও দিল্লির এই দূষিত বাতাস ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে। এমনকি যাঁদের হৃৎপিণ্ড কিংবা ফুসফুসের অসুখ রয়েছে, তাঁদের পক্ষে এই বাতাস অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে সর্বত্র মাস্ক পরে চলাফেরা করার নিদান দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রাজধানীর দূষণ পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, মাঝে স্কুল পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ডিজেল চালিত গাড়ির উপরেও কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। সম্প্রতি দূষণ আগের চেয়ে কিছুটা কমায় গাড়ির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার।