Advertisement
দেশ

গুজরাতে ভেঙে পড়ল ঝুলন্ত সেতু! মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে শতাধিক

সংস্কারের পরেও ভেঙে পড়ল ঝুলন্ত সেতু। রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনসাধারণ এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছে। তাদের দাবি, সেতু চালু করার আগে প্রশাসনের সবুজ সংকেত নেওয়া হয়নি। এমনকি সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েও কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি।

কিছু দিন আগেই গুজরাতের মোরবিতে নদীর উপর ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেতু ফের চালু হওয়ার ৬ দিনের মাথায় এত বড় বিপর্যয়। সঙ্কীর্ণ ওই সেতুটিতে এদিন সন্ধ্যায় প্রায় ৫০০ মানুষ উঠে পড়েছিলেন বলে দাবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেতুর উপর দাঁড়িয়ে কী ভাবে লাফালাফি করছেন অনেকে।

এর পরেই নদীর উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই ঝুলন্ত সেতুটি। জানা গিয়েছে, ওই সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটিকে বন্ধও রাখা হয়। গত ২৬শে অক্টোবর সেতুটিকে পুনরায় খোলা হয়।

মোরবি পুরসভার তরফে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওই সংস্থা তাদের কাছ থেকে কোনও শংসাপত্র নেয়নি। এমনকি সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও সরকারকে জানানো হয়নি। সরকার এই সেতু সম্পর্কে তেমন কিছুই জানত না, এমনটাই দাবি মোরবি পুরসভা কর্তৃপক্ষের।

এদিন সারা রাত ধরে মাচ্চু নদীতে উদ্ধারকার্য চলেছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং উদ্ধারকারী-সহ অন্তত ২০০ জন উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন। এদিনই গুজরাতে তিন দিনের সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে গুজরাত রাজ্য সরকার ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। এই সেতু বিপর্যয়ে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.