টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় পায় বাংলাদেশ। তারপর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে শাকিব আল হাসানরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ফের বিপত্তি। টাইগারদের বিরুদ্ধে প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা ২০৫/৫ এ ইনিংস শেষ করে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ জিতে দলের বোলারদের প্রশংসা করেছিলেন অধিনায়ক শাকিব। সেই বোলাররাই দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে ডোবালেন। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তিনি অবশ্য ওপেন করতে নেমে ৬ বল খেলে ২ রান করেই আউট হন।
অধিনায়ক সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন কুইন্টন ডি’কক এবং রিলি রুসো। তাতেই বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় তৈরি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগারদের বিরুদ্ধে অনবদ্য শতরানের ইনিংস খেলেন রুসো। প্রায় ২০০ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে খেললেন গোটা ইনিংস। শাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে রুসো ৫৬ বলে ১০৯ রান করেন। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি চার এবং ৮টি ছয় দিয়ে।
বাংলাদেশের কোনও বোলারকেই তোয়াক্কা করলেন না রুসো। এছাড়া ডি’ককের ব্যাট থেকেও আসে আগ্রাসী ৬৩ রান। তাঁর ৩৮ বলের ইনিংসে রয়েছে ৭টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারি। তবে ট্রিস্টান স্টাবস (৭), এডেন মার্করামরা (১০) রান পেলেন না। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রইলেন ডেভিড মিলার (২) এবং ওয়েন পার্নেল (শূন্য)। শেষ দিকে পরপর উইকেট হারানোয় একটু থিতিয়ে পরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সফলতম অধিনায়ক শাকিবই। ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। সাজঘরে ফেরালেন রুসো এবং স্টাবসকে। ১১ রানে ১ উইকেট নিলেন আফিফ হোসেন। হাসান মেহমুদ ৩৬ রানে ১ উইকেট এবং তাসকিন আহমেদ ৪৬ রানে ১ উইকেট পেলেন। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন আজকের ম্যাচে ৩ ওভার বল করে ৪৬ রান দিলেন। এবার এটাই দেখার, এই বিশাল রানের পাহাড় বাংলাদেশ তাড়া করতে পারে কি না।