এই মুহূর্তে উৎসবের আমেজে মাতোয়ারা দেশবাসী। মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে দশেরা উৎসব। তবে, এই উৎসব সর্বত্র পালিত হলেও মাইসোরের রাজকীয় দশেরা উৎযাপন সম্পূর্ণ আলাদা। বিজয়া দশমীর দিনটি মাইসোরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আনন্দের সাথে পালিত হয় এই উৎসব।
মাইসোরের ১০ দিন যাবৎ ওই অনুষ্ঠান স্থায়ী হয়। এছাড়াও, প্রাসাদ থেকে শুরু করে পুরো শহর জুড়ে থাকে আলোর রোশনাই। আর তাই সেখানকার ঐতিহাসিক দশেরা দেখতে দেশ-বিদেশের মানুষ ভিড় জমান। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মাইসোর দশেরা “রয়্যাল ফেস্টিভ্যাল” নামেও পরিচিত। এই উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং মেলার পাশাপাশি নাচ এবং গানের অনুষ্ঠানও সম্পন্ন হয়।
তাছাড়া লক্ষাধিক আলোয় সাজানো হয় মাইসোরে প্যালেসকে। এছাড়াও, চামুণ্ডেশ্বরী পাহাড়টিকে প্রায় দেড় লক্ষ বাল্ব দিয়ে আলোকিত করা হয়। মাইসোরের চামুন্ডি পাহাড়ে অবস্থিত চামুণ্ডেশ্বরী দেবীর মন্দিরে প্রার্থনার মাধ্যমে দশেরার উদযাপন হয়। তারপর হাতি, ঘোড়া ও উট সহযোগে মিছিল শুরু হয়। হাতিগুলিকে অপরূপ সাজে সাজিয়ে শোভাযাত্রায় বের করা হয়।
যখন সুসজ্জিত হাতিগুলি সোনার এই আসনটি নিয়ে বের হয় তখন হাজার হাজার মানুষ তার উপর ফুল বর্ষণ করে। ওই আসনটিকে “হাউদা” নামে অভিহিত করা হয়। যা মাইসোরের কারিগরদের একটি চমৎকার এবং বিষ্ময়কর সৃষ্টি। প্রথা অনুযায়ী, প্রথমে রাজপরিবার এই মূর্তির পূজা করে। এরপর তা মিছিলে অন্তর্ভুক্ত হয়। অনুষ্ঠানের দশম দিনে এই মিছিল বের করা হয়। যা মাইসোর প্রাসাদ থেকে শুরু হয় এবং বান্নিমন্তপায় শেষ হয়। প্রতি বছর দেশ-বিদেশের বহু মানুষ এই আন্তর্জাতিক দশেরা উদযাপনে সামিল হন।