সামনেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে সমীক্ষা শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিধানসভায় গুজরাতে সরকার গড়বে বিজেপি। তাহলে লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেকটাই শক্তি বাড়বে গেরুয়া শিবিরের।
২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগেই গুজরাটে বিধানসভা ভোট। গুজরাটকে মোদি-শাহের আঁতুরঘর বললে ভুল হবে না। সেকারণেই উন্নয়নে এখন গুজরাতের দিকে বেশি মন দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি – অমিত শাহরা। কয়েরদিন আগেই আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই ভিস্তাডম এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
তাছাড়াও একের পর এক প্রকল্পের উদ্বোধন করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায়ই গুজরাতে যেতে দেখা যাচ্ছে মোদি-শাহ জুটিকে। তার অন্যতম কারণই হল গুজরাতের বিধানসভা ভোট। ২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে এক প্রকার অ্যাসিড টেস্ট হবে গুজরাতের এই বিধানসভা ভোট।
গুজরাতে এবার বিজেপির প্রবল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে আম আদমি পার্টি। সমীক্ষা অনুযায়ী, বিধানসভা ভোটে বিজেপি পাবে ৬৩ শতাংশ ভোট এবং আপ পাবে ১৯ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পাবে ৯ শতাংশ ভোট এবং অন্যান্যরা পাবে ২ শতাংশ ভোট। কাজেই গুজরাতে আপ টক্কর দিলেও সরকার গড়তে পারবে না। আশা করা হচ্ছে পদ্ম শিবির ১৩৫ থেকে ১৪৩ টি আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
গুজরাত বিধানসভা ভোটের বড় ইস্যু হতে চলেছে কর্মসংস্থান এবং মুদ্রাস্ফীতি। এই দুটি ইস্যুতে মোদির উপর চাপ তৈরি করবে বিরোধীরা। কারণ মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের কর্মসংস্থান একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বারংবার মোদী সরকারকে এই নিয়ে কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অসংখ্য মানুষের কাজ গিয়েছে। তার উপর কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক সরকারি ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ করেছে। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে পরপর তিনবার রেপোরেট বাড়াতে হয়েছে। ইত্যাদি ইস্যু নিয়েই বিজেপিকে আক্রমণ করবে বিরোধীরা।