কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে পত্র পাওয়ার পরেই কংগ্রেসের অশান্তি কাটার ইঙ্গিত দলের বর্ষীয়ান নেতা শশী থারুর। তিনি জানিয়ে দেন, সভাপতি নির্বাচনে স্বচ্ছতা চেয়ে যে প্রশ্নগুলি তিনি এবং বাকি চার সাংসদ তুলেছিলেন, সেই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁরা পেয়ে গিয়েছেন। দলের জবাবে তাঁরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট।
গত ৬ ই সেপ্টেম্বর সভাপতি নির্বাচনের আগে স্বচ্ছভাবে ভোটার তালিকা পাঠানোর দাবিতে গত দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিটির প্রধান মধুসুদন মিস্ত্রিকে একটি চিঠি লেখেন কংগ্রেসের ৫ সাংসদ।শশী থারুর, মনীশ তিওয়ারি, কার্তি চিদাম্বরম, প্রদ্যোত বরদলুই, আবদুল খালেক, এই ৫ কংগ্রেস সাংসদ চিঠিতে লিখেছেন, বারবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দাবি করা সত্ত্বেও দল পাত্তা দিচ্ছে না।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, আমরা দলের কোনও গোপন নথি বা তথ্য প্রকাশ করতে বলছি না যাতে তথ্যের অপব্যবহার হয় বা দলের কোনও ক্ষতি হয়। বরং আমরা চাই যে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রতিনিধিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হোক। এতে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সংশয় দূর হবে।
শশী-মণীশদের সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই দলের নির্বাচন কমিটির প্রধান মধুসূদন মিস্ত্রি হস্তক্ষেপ করেন। এই পাঁচ সাংসদকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দেন, যে কেউ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে। প্রত্যেক রাজ্যের ভোটার তালিকা সেই রাজ্যের প্রদেশ দপ্তরে গেলেই পাওয়া যাবে। কেউ যদি সর্বভারতীয় ভোটার তালিকা চায়, তা দিল্লিতে কংগ্রেস দপ্তরে পাওয়া যাবে।
মধুসুদন আরও জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে কংগ্রেসের ৯ হাজারের কিছু বেশি ভোটার আছেন। প্রত্যেক ভোটারকে আলাদা সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই প্রথমবার এই পরিচয়পত্রে থাকছে QR কোড। যে কেউ ১০ জন বৈধ ভোটারের সমর্থনে দলের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। শুধু দেখে নিতে হবে, যাদের সমর্থনে আপনি প্রার্থী হচ্ছেন, তাঁর পরিচয়পত্র বৈধ কিনা।
মধুসূদন মিস্ত্রির এই চিঠি পাওয়ার পরই রণে ভঙ্গ দেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। তিনি এই চিঠি টুইট করে লেখেন,”আজন্ম অনুগত কংগ্রেসি হিসাবে আমরা শুধু জবাব চেয়েছিলাম। কোনও যুদ্ধ চায়নি। দল যে জবাব দিয়েছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। আমার মনে হয় এই নির্বাচন প্রক্রিয়া দলকে আরও শক্তিশালী করবে।” এর থেকে স্পষ্ট আপাতত বিদ্রোহের পথে হাঁটবেন না কেরলের এই সাংসদ।