Advertisement
দেশ

ন’বছরের আইনি লড়াই, নয় সেকেন্ডে ভেঙে গেল নয়ডার জোড়া অট্টালিকা

নয়ডায় এখন পরে রইল শুধু টুইন টাওয়ারের দেহাবশেষ

ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল নয়ডার বিখ্যাত টুইন টাওয়ার। গগনচুম্বী যমজ এই অট্টালিকা ভাঙতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ সেকেন্ড। নয়ডার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এই টাওয়ারের অস্তিত্ব মুছে দেওয়া হল। এখন এই যমজ অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। তিন মাস ধরে চলবে সৎকারের কাজ।

নির্মাণের শুরু থেকেই বিতর্ক সঙ্গী ছিল নয়ডার এই টুইন টাওয়ারের। ২০০৫ সালে সেক্টর ৯৩এ-তে ১৪টি অট্টালিকা বানানোর অনুমতি পেয়েছিল সুপারটেক নির্মাণ সংস্থা। নয়ডা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, অট্টালিকাগুলির উচ্চতা ৩৭ মিটারের মধ্যে হতে হবে। ২০০৬ সালে সুপারটেক নির্মাণ সংস্থাকে আরও জমি দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে স্থির করা হয়, আরও ২ টি অট্টালিকা বানাবে সুপারটেক। তার মধ্যে একটি হল অ্যাপেক্স, অন্যটি সিয়েন।

এই কংক্রিট ২৪ তলা পর্যন্ত বানানো হবে বলে স্থির করা হয়। কিন্তু নিয়ম ভেঙে সেই অট্টালিকা ৪০ তলা করা হয় বলে অভিযোগ। আর এখান থেকেই টুইন টাওয়ার বিতর্কের সূত্রপাত। নিয়ম ভঙ্গের কারণে এমারল্ড কোর্ট ওনার্স রেসিডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা করে। নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ অ্যাপার্ট ওনার্স অ্যাক্ট, ২০১০-এর লঙ্ঘন করেছে।

এছাড়া যেখানে বাগান করা হবে বলে দলিলে দেখানো হয়েছিল, সেই জায়গাতেই অট্টালিকা গড়ে তোলা হয়। নির্মাণ আইন অনুযায়ী, যেখানে দু’টি অট্টালিকার দূরত্ব ৩৭ মিটার হওয়া উচিত, সেখানে ১৬ মিটার দূরত্বে অ্যাপেক্স এবং সিয়েনকে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে এই যমজ অট্টালিকা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়। শেষে এই মামলা ইলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পৌঁছয়। অবশেষে দীর্ঘ ১০ বছর পর যমজ অট্টালিকা ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.