মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম এর কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করার কথা জানালেন।সোমবার সকালে জি২০ বৈঠকে দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি সকালেই বিষয়টা হ্যান্ডল করে দিয়েছি। অল্পবয়সি কেউ মারা গেলে দুঃখ-কষ্ট হয়, কিন্তু তা বলে মারধর ভাঙচুর করা হয় না।”সোমবার সকালেই তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে সুপারকে ফোন করেছেন বলে জানান।
এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে রবিবার মধ্যরাতে এক যুবকের মৃত্যুর পর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখাকে কেন্দ্র করে বচসায় উত্তাল হয়। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে।রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ ওঠে। মারধর করা হয় চিকিৎসকদের।মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, “কত কষ্ট করে ট্রমা সেন্টার বানিয়েছি। অথচ কিছু লোক এসে সেটাকেই ভেঙে দিল।” সিনিয়র চিকিৎসকেরা ঘটনার সময় কেন ছিলেন না। তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।এসএসকেএম-এ পুলিশের স্থায়ী ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রোগীর পরিজনদের হাতে নিগৃহীত চিকিৎসকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “সোমবার সকালেই আমি সুপারকে ফোন করে ওদের জন্য সরি বলেছি।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য প্রশাসন।” এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতালেওই যুবককে। তিনি হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দা। তাঁকে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মৃত্যুর শংসাপত্র লেখা নিয়ে গোলমাল বাধে।