সম্প্রতি নিখোঁজের দিন থেকেই সোশাল মিডিয়ায় দাদুকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন নাতনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাদুর একটি ছবিও পোস্ট করেন। ভাইরাল হয় সেই পোস্ট। রেলস্টেশন থেকে মন্দির সব জায়গাতে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
জানা যায় কোন্নগরের বাসিন্দা বৃদ্ধ প্রণব রায়চৌধুরী(৮৬) গত ১৯ নভেম্বর সকালে বাড়িতে থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সারাদিন তিনি ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। ওই দিনই নিখোঁজ ডাইরি দায়ের করা হয় উত্তরপাড়া থানায়। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় পানিহাটি পুলিসের কাছ থেকে খবর আসে গঙ্গায় একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহ সনাক্তকরণ করনে ডাক পড়ে বৃদ্ধের পরিবারের। জানা যায় মৃত ব্যক্তি প্রণব রায় চৌধুরী। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি বৃদ্ধ তাঁর এক মেয়ে ও নাতনির সঙ্গে থাকতেন কোন্নগরে। মেয়ে স্মৃতি ঘোষ জানান,বাবা সুস্থই ছিলেন। কোনও অবসাদ ছিল না। ভোরবেলায় হাঁটতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। নাতনি ঈশা ঘোষ বলেন, দাদু কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটের সামনে বসে থাকতেন। নিখোঁজ হওয়ার পর আমি গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজি। তারকেশ্বর বেলুড়,কাটোয়া কোথায় সন্ধান মেলেনি। গতকাল সকালেও দক্ষিনেশ্বর গিয়ে খুঁজে এসেছি। বার্ধক্য জনিত কারনে দাদুর স্মৃতি কিছুটা দুর্বল হয়েছিল। পানিহাটি ঘাটে মৃতদেহ উদ্ধার হয় বলে জানতে পারি। জলে পড়ে নাকি আত্মহত্যা তা বলতে পারব না।