বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির সবথেকে বড় ভিলেন নর্থ কোরিয়া সুপ্রিমো কিম জং উন। তাদেরই প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার কথা বাদ দিলেও উত্তর কোরিয়ার আতঙ্কে আছে গোটা বিশ্ব। যে কোনদিনই পাড়ি দিতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার বুকে কিম জং উনের দেশে। কঠোর নিয়ম ও চূড়ান্ত স্বৈরাচারী শাসনের জেনে নাজেহাল উত্তর কোরিয়ার মানুষেরা।
ঠিক এখানেই বাকি বিশ্বের সাথে যোগাযোগটা থেমে যায়, গোটা বিশ্বটা যেন একটা দুর্গ।কিন্তু এই দেশেই ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা ভাবছেন ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফান্টিনো।তিনি বললেন, একমাত্র পরিবর্তন আনতে পারে বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশগ্রহণই।বহু সমালোচিত কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনের আগে সাংবাদিক সন্মেলনে ঐতিহাসিক বার্তা দিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফান্টিনো।
কাতারে বিশ্বকাপ হওয়া নিয়ে অনেক সমালোচনা তৈরি হয়েছিল।বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের তৈরির জন্য বিদেশ থেকে আসা শ্রমিকদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে এবং নিরুদ্দেশও হয়েছেন অনেকে, এই নিয়ে ফিফার দিকে অভিযোগ উঠেছিল অনেক। এছাড়াও কাতারে নারীদের পোশাক ও নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে ফিফা সভাপতি এই সমালোচনা জবাব দিলেন।তার সাথে ঘোষণা করলেন এক ঐতিহাসিক পরিকল্পনা, উত্তর কোরিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজন। ফিফা সভাপতি দাবি করলেন তিনি আগে উত্তর কোরিয়াতে গেছেন এবং সেখানে বিশ্বকাপ আয়োজন করার মতো পরিকাঠামো আছে কিনা দেখে গেছেন।
আয়োজন করা হবে দক্ষিণ কোরিয়াতে মহিলা বিশ্বকাপ এবং এখানে উত্তর কোরিয়াকেও আয়োজন করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।ইনফান্টিনো বলছেন, ফিফা একটি বিশ্বব্যাপী ফুটবল সংস্থা। আমরা সবাই ফুটবল প্রিয় মানুষ কেউই রাজনীতিবিদ না তাই সবাইকে একসাথে আনতে চাই।সব দেশের বিশ্বকাপ আয়োজন করার অধিকার আছে, এমনকি উত্তর কোরিয়ারও… আমি উত্তর কোরিয়া গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম তারা মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ইচ্ছুক কিনা।
কিন্তু তারা তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কিন্তু আরও ১০০ বার আমি জিজ্ঞাসা করব।এর আগে ফিফায় উত্তর কোরিয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল যখন উত্তর কোরিয়ার এক প্রতিনিধি বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ বাছাইয়ের সভায় টাকার বান্ডিল ছুড়ে মেরেছিল।