সারা পৃথিবী ঘুরে খুঁজলেও এমন মানুষ পাওয়া যাবে না, যিনি ঘুরতে ভালবাসেন না। তবে ঘুরতে যাওয়া এবং ছুটি কাটাতে যাওয়ার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ফারাক আছে। যাঁরা ভ্রমণপিপাসু, তাঁরা তা নিশ্চয়ই জানেন। করোনা-পরবর্তী সময়ে প্রতিটি মানুষেরই জীবনযাপনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। পর্যটনও তার ব্যতিক্রম নয়। ভ্রমণের অভিধানে ‘স্লিপ ট্যুরিজ়ম’ এখন বহুচর্চিত একটি বিষয়।
‘স্লিপ ট্যুরিজ়ম’ বিষয়টি কী?
বিষয়টি একেবারে নতুন না হলেও এই প্রজন্মের কাছে নতুন নামে পরিচিত। বিদেশে এই ধরনের পর্যটনের চল থাকলেও আমাদের দেশে তা এই নামে পরিচিত ছিল না। কাজের চাপে অনিদ্রাজনিত সমস্যা আগেও ছিল। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই হাওয়া বদল করতে যেতেন।
১) আলেপ্পি, কেরল
আলেপ্পির ‘ব্যাক ওয়াটার’কে বলা হয় প্রাচ্যের ভেনিস। এখানকার স্বচ্ছ জল এবং নিরিবিলি পরিবেশ ছুটি কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে হাউসবোটে ভেসে ভেসে রাত্রিযাপনের অভিজ্ঞতা সারা জীবনের জন্য মনে রেখে দেওয়ার মতো।
২) নাকো, হিমাচল প্রদেশ
হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম হল নাকো। বৌদ্ধ মন্দির এবং পবিত্র লেক এই গ্রামের মূল আকর্ষণ। কাজ থেকে ক’টা দিন ছুটি নিয়ে, ঘুমোতে চাইলে নাকো গ্রাম হতে পারে আপনার আদর্শ ঠিকানা।
৩) ডুয়ার্স, পশ্চিমবঙ্গ
বাঙালির সেই চেনা ‘শৈশবের দার্জিলিং’ যদি বাদ দিতেও হয়, দিতে পারেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স সব সময়েই নিরিবিলি, শান্ত। সেখানকার চা বাগানের মনোরম পরিবেশ ঘুমোনোর জন্য আদর্শ জায়গা হতেই পারে।
৪) চেরাপুঞ্জি, মেঘালয়
মেঘালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গার মধ্যে আছে চেরাপুঞ্জি। পাহাড়, জলপ্রপাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার মনে আনবে প্রশান্তির ছায়া। চেরাপুঞ্জির মূল আকর্ষণ হল এখানকার আবহাওয়া। সারা ক্ষণ ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, শিরশিরে হাওয়া ঘুম ভাঙতেই দেবে না।
৫) পুদুচেরি
ভারতের মানচিত্রের একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত পুদুচেরি বিখ্যাত তার নীল জলরাশির জন্য। এক কালে ফরাসি উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল এই অঞ্চলে। পূর্ণচাঁদের মায়ায় সমুদ্রের ধারে কোনও একটি আস্তানায় সারা রাত প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায়।