মঙ্গলবার সকাল থেকেই NIA এবং পুলিশের সম্মিলিত বাহিনী জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে একাধিক জায়গায়। এখনও পর্যন্ত মোট ৮টি রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। আজও বেশ কয়েকজন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও ১৩টি রাজ্যের পুলিশ একযোগে অভিযান চালায় দেশের মোট ১৫ রাজ্যে। জানা গিয়েছে, সেই অভিযানে ধৃত ১০৬ জন নেতা থেকে যে তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই আজ আবার অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা।
তার আগে ২২শে সেপ্টেম্বর কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র, বাংলা, বিহার, মণিপুরে সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালায় NIA।
তদন্তকারী সংস্থা জানায়, PFI ও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রচুর ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই আজকের এই অভিযান। অধ্যাপকের হাত কেটে নেওয়া, একাধিক খুন, বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মতো একাধিক ঘটনায় নাম জড়ায় এই সদস্যদের। সে সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই চালানো হয় এই অভিযান।
অভিযানে উদ্ধার হয় প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি, নগদ টাকা, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস। গোটা অভিযান প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং আরও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
গত বৃহস্পতিবার NIA অভিযানের পরই শুক্রবার বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নামে PFI সদস্য এবং সমর্থকরা। গত শুক্রবার কেরলে প্রায় ৭০টি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়া ভাঙা হয় বহু দোকান। হিংসাত্মক কাণ্ডে জড়িত ৫০০ PFI কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয় বলে জানা যায়। আজকের এই অভিযানের পর এখনও পর্যন্ত PFI-র তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।