বিশৃঙ্খল দশা ইরানে। হিজাব না পরার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন মাহসা আমিনি। তারপর হেফাজতে থাকাকালীনই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই শুরু হয় প্রতিবাদী বিক্ষোভ। আর আন্দোলনে পথে নেমে ইরানে নিহত হয় ৩১ জন।
মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, বুধবার প্রতিবাদে নেমে ইরানের উত্তরে আমোল শহরে মারা গিয়েছেন ১১ জন। এদিনই ওই মাজানদারান প্রদেশের বাবোল শহরে মারা গিয়েছেন ৬ জন। এর আগে কুর্দিস্তানের একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে ওই প্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জন প্রতিবাদীর। বুধবার রাতে মারা গিয়েছেন আট জন।
ইরানের মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান মাহমুদ আমিরি-মোঘাদ্দাম বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন ইরানের নাগরিকেরা। সরকার শান্তিপূর্ণ সেই প্রতিবাদের জবাবে বুলেট ছুড়েছে।’’
ইরানের মানবাধিকার সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের ৩০টি শহর এবং গ্রামে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এই বিক্ষোভ দমন করতে প্রতিবাদী এবং মানবাধিকার কর্মীদের গণ-গ্রেফতার করছে ইরান পুলিশ।
গত সপ্তাহের শেষে ইরানের উত্তরে কুর্দিস্তানে প্রথম এই প্রতিবাদ শুরু হয়। মাহসা আমিনি সেখানকারই বাসিন্দা। হিজাব না পরার অপরাধে আটক করা হয়েছিল আমিনিকে। এরপর নীতি পুলিশের হেফাজতেই রহস্যজনক ভাবে মারা যান তিনি। এর পর তা নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এই প্রতিবাদী আন্দোলন ক্রমশ ছড়িয়ে যায় গোটা দেশে।