আধুনিক জীবন যাত্রায় বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার শুধু পৃথিবীর মধ্যে আটকে নেই। পৃথিবীর বাইরে নিত্য নতুন গ্রহ এবং সেই গ্রহের মধ্যে প্রাণের সন্ধান আছে কিনা, জীব সেখানে বেঁচে থাকতে পারবে কিনা, এইসব নিয়ে তাদের গবেষণা চলছে।
ঠিক এই ভাবেই আমেরিকার স্পেস এজেন্সি NASA আর্টেমিস ওয়ান নামে এক নতুন রকেট মহাকাশে পাঠাচ্ছিল। কিন্তু রকেটের ইন্ধনের স্থানে ফুটো হয়ে যাওয়ায় উৎক্ষেপনটি স্থগিত করতে তারা বাধ্য হয়। এই ঘটনা তাদের মন খারাপের কারণ হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু সম্প্রতি এক নতুন ঘটনা সামনে এসেছে যেটি বিজ্ঞানী মহল এক খুশির বার্তা এনেছে।
কয়েক বছর আগে নাসা মঙ্গল গ্রহে পারসিভারেন্স রোভার উদক্ষেপন করেছিল। এখন এই রোভারটি আবিষ্কার করেছে যে কোন সময়ে মঙ্গল গ্রহে জল অবশ্যই ছিল। কিন্তু এখন এখানে প্রাণের সম্ভাবনাও থাকতে পারে। রোভারটি সমস্ত নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং তাকে পৃথিবীতে আনার পরিকল্পনা চলছে।
এছাড়াও এটি জোজার ক্রেটারে এমন কিছু শিলাও শনাক্ত করেছে যেগুলি জলের উপস্থিতির বার্তা দেয়। সাইন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে আমরা জানতে পারি যে মঙ্গল গ্রহে দুই ধরনের আগ্নেয়শিলা পাওয়া গেছে। যদিও বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক অনুমান ছিল যে মঙ্গলে পলি ও পাললিক শিলা থাকতে পারে।
মঙ্গলে প্রাপ্ত এই আগ্নেয় শিলা বিজ্ঞানীদের মধ্যে এক বিস্ময়ের সঞ্চার করেছে। বিজ্ঞানীরা যে জোযার ক্রেটারের কথা বলছেন সেটি আই এস আই ডি এস প্লানেটোরিয়া থেকে 45 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একসময় নাসার প্রেরিত এই পারসিভারেন্স রোভারকে অবতরন করানোর জন্য যোজার ক্রেটারকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।