সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের পতন হয় এবং ক্ষমতায় আসে একনাথ শিন্ডে-বিজেপি জোট সরকার। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মতোই ঝাড়খণ্ড শাসক জোট সরকারের পতন ঘটতে চলেছে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এসব বিতর্ক এড়াতেই অবশেষে বিধায়কদের ঝাড়খণ্ড ছেড়ে ছত্তিশগড়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল জোট সরকার।
রাজনৈতিক সূত্রে খবর, গতকাল রাতেই সকল বিধায়কদের জন্য একটি বিমান সংরক্ষণ করে জাতীয় কংগ্রেস দল। এদিন সেটিতে চড়েই ঝাড়খণ্ড থেকে রায়পুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সকল বিধায়করা। গত কয়েকদিন ধরে, একাধিক রাজ্যে বিরোধী শক্তিদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সেই স্থানে বিজেপি বসার চক্রান্ত করে চলেছে বলে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। এই তালিকায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের নাম, যেখানে বর্তমানে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম এবং কংগ্রেস-আরজেডির জোটকে সরিয়ে সেখানে বিজেপি আসার সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
এই মুহূর্তে খনি লিজ মামলায় গুরুতরভাবে ফেঁসে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি, এই প্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের কাছে একটি চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি পরবর্তী সময়ে হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়, তবে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়েও সংশয় দেখা দেবে।
এমতাবস্থায় রাজ্যে জোট সরকারকে টিকিয়ে রাখাই প্রধান চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মোট ৮০ টি আসনের মধ্যে ৫০ টি দখলে রয়েছে শাসক জোটের। অপরদিকে, ৩০ টি রয়েছে বিজেপির দখলে। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পরবর্তী সময়ে যদি জোটপক্ষ থেকে বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করেন, তবে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দল ভাঙার আশঙ্কার মাঝেই এদিন সকল বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীতে তাদের সকলকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে ঝাড়খণ্ড সরকারের এই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত তাদের ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।