পরিচারিকার উপর অত্যাচার! শেষমেষ ছেলে নিজেই মায়ের বিরুদ্ধে গেল। পরিচারিকাকে মায়ের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্যের জন্য বন্ধুকে ফোন করল আয়ুষ্মান পাত্র। আয়ুষ্মানের বন্ধু বিবেক আনন্দ বাস্কে ওই পরিচারিকাকে বাঁচান এবং অভিযুক্ত সীমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
অভিযুক্ত সীমা পাত্র ঝাড়খন্ডের এক বিজেপি নেত্রী। এখন তিনি অবশ্য দল থেকে সাসপেন্ডেড। তাঁর বিরুদ্ধে পরিচারিকাকে মারধর, অত্যাচার, এমনকি মেঝেয় পড়ে থাকা প্রস্রাব চাটানোর অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সীমা বলেছেন, ‘‘আমায় ফাঁসানো হয়েছে। এটা রাজনীতি।’’
পরিচারিকার উপর অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে বিবেক বলেন, ‘‘গত ২ রা আগস্ট রাত সওয়া ১টা নাগাদ আয়ুষ্মান ফোন করে মেয়েটিকে (পরিচারিকা) বাঁচানোর কথা বলে। ও জানায় যে, নির্মম ভাবে মেয়েটির উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন সীমা।’’ বিবেক আরও বলেন, ‘‘ওই একই সময়ে আয়ুষ্মানের মা-ও ফোন করেন। উনি জানান যে, আয়ুষ্মানের মানসিক অবস্থা ভাল নয়। অত্যাচার করছে। তোমায় কিছু একটা করতে হবে।’’
ফোন পেয়ে সীমার বাড়ি ছুটে যান বিবেক। কিন্তু তাঁকে বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিবেকের অভিযোগ, পরিচারিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে ছেলে, এটা বুঝতে পেরে নিজেকে বাঁচাতে আয়ুষ্মানকে মানসিক রোগী সাজিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর ফন্দি করেন সীমা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। অবশেষে ওই অত্যাচারিত পরিচারিকাকে উদ্ধার করেন আয়ুষ্মানের বন্ধু। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচারিকার উপর অত্যাচারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই সীমাকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে। বিবেকের কথায়, ‘‘এক জন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে মেয়েটিকে বাঁচানো আমার নৈতিক কর্তব্য।’’