Advertisement
বিনোদন

চ্যানেলে চ্যানেলে মহালয়া দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে ভিডিও করলেন ঝিলম গুপ্ত

ডিডি বাংলা এক সময় খুব লিমিটেড জিনিস নিয়ে যে মহালয়া দেখিয়েছিল বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এত কিছু দেখানো হচ্ছে কিন্তু তা সত্ত্বেও মহালয়ার মধ্যে সেই প্রাণ নেই, মহালয়া যেন সকলের কাছে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে এই নিয়েই কথা বললেন জনপ্রিয় ইউটিউবার ঝিলাম গুপ্ত‌।

সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিও করে ঝিলাম বলেন যে, মানুষ যখন কোন ভুল অনিচ্ছাকৃত করে তখন তাকে ক্ষমা করা যায় কিন্তু ইচ্ছাকৃত কেউ কোন ভুল করলে তাকে ক্ষমা করা উচিত নয় এবার আপনারাও আমাকে ক্ষমা করবেন না যদি আমি ভুল চাই কারণ আমি একটা মহা ভুল করে ফেলেছি আমি প্রত্যেকটা চ্যানেলে চ্যানেলে ঢুকে মহালয়া গুলো দেখে ফেলেছি।

এরপর তিনি বলেন যে, কালার্স বাংলা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা চ্যানেলের মহালয়ায় খুব বিরক্তিকর লেগেছে আর কালার্স বাংলার ধূমাবতীকে দেখে মনে হচ্ছে শুধু চুলটাই পাকা বাকি গোটা শরীর ইয়ং যেন কলেজের কোন ছাত্রী ঘুম থেকে উঠে চলে এসেছে। অন্যদিকে কালার্স বাংলার কালী শ্রুতি দাস এর পিছনে অসম্ভব লাইটের এফেক্ট ছিল, পিছন থেকে উল্কাপাত হচ্ছিল এবং কালীর পিঠের দিকে বিদ্যুৎ দেখানো হচ্ছিলো, ঝিলাম গুপ্তের কথা এগুলো আপনারা কোথায় পেলেন? ওটা স্বর্গ ওখানে এত বিদ্যুৎ থাকবে কেন ওটা কি ইলেকট্রিসিটি অফিস?

এরপর ঝিলাম গুপ্ত আরও বলেন যে, অসুর যুদ্ধ করার সময় লাফ দেবে এটা মানা যায় কিন্তু মিনিটে মিনিটে এরকম নাচবে কেন? অন্যদিকে দেবাদিদেব মহাদেব জি বাংলার দেবাদিদেব মহাদেব নাচছে আর কালার্স বাংলার মহাদেব কাঁদছে! তিনি সমস্ত দেবতার দেবতা তাকে কোথায় নিয়ে গিয়ে নামিয়েছেন?

ঝিলম গুপ্ত আরও বলেন যে, সমস্ত দেব-দেবী থেকে শুরু করে সবাই নাচছে এত নাচানাচির কি আছে বুঝতে পারি না! চ্যানেলে চ্যানেলে এত কম্পিটিশন কিন্তু মহালয়ার দিন প্রতিটি চ্যানেল খুললেই মনে হয় যেন নাচের স্কুল!

ঝিলাম গুপ্তের কথা এরকম হ্যারি পটার মহালয়া দেখা তার মহা ভুল হয়ে গিয়েছিলো। সবশেষে চ্যানেল কমিটিকে তিনি অনুরোধ করেন, দয়া করে ডিডি বাংলার সেই পুরোনো সাবেকী মহালয়া ফিরিয়ে আনুন। টেনে হিজড়ে গল্প নেই, কিছু নেই মিনিটে মিনিটে নাচ দিয়ে মহালয়া কে বাড়াবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.