অভিনেতা জিতু কমল ও তাঁর স্ত্রী নবনীতা দাস বৃহস্পতিবার বিরাটি থেকে সোদপুর যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাদের দাবি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের হেনস্থা হতে হয়। অভিযুক্ত গাড়িচালক দেবাশীষ দাস কে এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার ওই চালকের আরও তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়।শুধু তা-ই নয়, থানায় যে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন জিতুর স্ত্রী, তাঁর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানালেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুবীর রায়। এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হল।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠককে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সহকারী পুলিশ কমিশনার সুবীর রায় বলেন, ‘‘নবনীতা দেবীর অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছে। নিমতা থানার ওসি যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি সামলেছেন। নিমতা থানার কর্তব্যরত যে এএসআই পরশুরাম বরদলুইয়ের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনেন নবনীতা, খুব শীঘ্রই তাঁর বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে।’’
অভিযুক্তরা গ্রেফতারের পর জিতু বলেন,‘‘বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছে নবনীতা।’’ তবে তিনি পুলিশের এই শেষমেষ পদক্ষেপে বেশ খুশি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঠিক কি হয়েছিল?মাজেরহাটি ক্রসিং এর কাছে একটি মালবাহী গাড়ি ঘষে দেয় জিতুর গাড়ি। অভিযুক্ত গাড়িচালককে দাঁড় করানো হলে তিনি পাল্টা অভিযোগ তোলেন অভিনেতার গাড়িচালকের বিরুদ্ধে। মালবাহী গাড়ির কাচ ভেঙে দিয়েছেন অভিনেতার গাড়ির চালক, পাল্টা অভিযোগ ছিল অভিযুক্তের। এই ঘটনায় তড়িঘড়ি নিমতা থানায় যান জিতু-নবনীতা। এই তারকা দম্পতির অভিযোগ কয়েক ঘন্টা থানায় বসে থাকলেও তাদের অভিযোগ নেয়া হয়নি বলে। পড়ন্ত তাদের অভিযোগ, থানার বাইরে অভিযুক্ত গাড়ি চালক ও তার সঙ্গে তাদের ওপর আবার চড়াও হন।শুধু তা-ই নয়, নবনীতার সঙ্গে ‘অশালীন’ ব্যবহার করা হয়, এমনকি অভিনেত্রীকে ‘প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি’ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। জিতু ও তার স্ত্রী কয়েক ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরে এফআইআর দায়ের করা হয় বলে দাবি করেন।তবে, এফআইআর দায়ের করতে গড়িমসি করা হয় বলে প্রথম থেকে অভিযোগ করেন এই দম্পতি। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করল ব্যারাকপুর কমিশনারেট।