জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক পিলু। এই ধারাবাহিকে বর্তমানে দেখানো হচ্ছে সম্পর্কের একটা অদ্ভুত টানা পড়েন। রঞ্জা এবং মল্লার একে অপরকে খুবই ভালোবাসে কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা নিজেদের ভালবাসাটা কখনোই প্রকাশ করে না তাদের ভালোবাসাটা প্রকাশ পায় বিভিন্ন রকম আচার-আচরণের মধ্য দিয়ে এবং বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে। ভালোবাসা যে মুখ ফুটে না বলেও প্রকাশিত হয় তা এই ধারাবাহিকে অনেকগুলি বিষয়ের মধ্যে দিয়ে দেখানো হয়েছে।
এই ধারাবাহিকে একজন অপরজনের কাছে ভালোবাসার কথা বলে না তার কারণ হচ্ছে দুজনের সম্পর্কের মধ্যে থাকা অভিমান। মল্লার মনে করে যে তার সাথে সম্পর্কের মধ্যে থাকলে, রঞ্জা কখনোই তার গানের জগতে উন্নতি করতে পারবে না এই কারণে সে রঞ্জাকে প্রচন্ড পরিমাণে ভালবাসলেও তাকে ডিভোর্স দিতে চাইছে আর এই ডিভোর্সের কথা জানাজানি হওয়ায় রঞ্জার বাবা চাইছে রঞ্জা নতুন করে কুশলের সাথে জীবন শুরু করুক। কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে যে তারা একে অপরের প্রতি কতটা দুর্বল ঠিক যেমন দুর্গা পূজার ধুনুচি নাচের সময়।
পিলু ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে ধুনুচি নাচের সময় মল্লার,পিলু,মল্লিকা সবাই ধুনুচি নাচ নিয়ে মা দুর্গার সামনে নাচছে আর ব্যাকগ্রাউন্ডে গান বাজছে বলো দুর্গা মাইকি জয়। এই নাচতে নাচতে ধনুচির থেকে একটি জ্বলন্ত ছোবড়া মাটিতে পড়ে যায় আর রঞ্জা সেটা দেখতে পায়। এই জ্বলন্ত ছোবড়ার দিকে নাচতে নাচতে মল্লার চলে যাচ্ছিলো, যাতে মল্লারের পা এই জ্বলন্ত ছোবরার মধ্যে না পড়ে তাই রঞ্জা ছুটে যায় এবং মল্লার এর পা দেওয়ার আগেই জ্বলন্ত ছোবড়াটা নিজের হাত দিয়ে সরিয়ে দেয়। এই ঘটনা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায় এমনকি কুশল পর্যন্ত বুঝতে পারে যে, রঞ্জা মল্লারকে ভালোবাসে। এই এপিসোড দেখে নেটিজেনরা বলছেন, মুখে না বলেও যে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় এই এপিসোড দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
