স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে নদী’ ২০১৭ সালেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ধারাবাহিকটি শেষ হওয়ার পাঁচ বছর পর আবার ফিরে এলো এই ধারাবাহিকের প্রসঙ্গ। এই ধারাবাহিক যখন ২০১৫ সালে শুরু হয় তখন দেখা যায় এই ধারাবাহিকের দুটি চরিত্র আছে। একজন মেঘলা অপরজন তিতির। মুখ্য নায়িকা ছিল মেঘলা আর পার্শ্ব নায়িকা তিতির। এই দুটো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোলাঙ্কি রায় ও শ্রীতমা ভট্টাচার্য।
এই ধারাবাহিকে মেঘলা অর্থাৎ সোলাঙ্কি শ্রীতমাকে দিদি বলে ডাকলেও আসলে সেই সময় শ্রীতমা সোলাঙ্কির থেকে বেশ ছোট ছিলেন। তাই শ্রীতমা অফ স্ক্রিনে সোলাঙ্কি কে দিদি বলে ডাকতেন। কিন্তু ধারাবাহিক শেষ হওয়ার এতগুলো বছর পর এখনো দেখা যাচ্ছে জমিয়ে কাজ করছেন সোলাঙ্কি, প্রথমা কাদম্বিনী থেকে বর্তমানে গাঁটছড়াতে- মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। কিন্তু শ্রীতমা আর মুখ্য চরিত্রে কাজ পান না, বয়সী ছোট হয়েও এখন তাকে বিভিন্ন রকমের পার্শ্ব চরিত্রে কাজ করতে হয়।
ঠিক কত বছরের ছোট শ্রীতমা আর সোলাঙ্কি? শোনা যায় যে, ইচ্ছে নদী করবার সময় শ্রীতমা সবে মাধ্যমিক পাস করেছিল আর সোলাঙ্কির তখন গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট হয়ে গেছে। কিন্তু পাঁচ বছর পর দুজনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য এখনো আগের চেহারা কে ধরে রেখেছেন সোলাঙ্কি তাই নায়িকা চরিত্রে কাজ পাচ্ছেন তিনি, অন্যদিকে বেশ মোটা হয়ে গেছেন শ্রীতমা সেই কারণে তিনি আর মুখ্য চরিত্রে কাজ পান না। এই নিয়ে দর্শকদের এক অংশ শুরু করেছেন কটাক্ষ। তারা শ্রীতমার মোটা হওয়া নিয়ে এবং কাজ না পাওয়া নিয়ে কথা শুরু করেছেন।
তবে শ্রীতমা ভক্তরা বলছেন, একজন অভিনেত্রী জীবনে কী করবেন কী হবেন তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন না পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করবেন? তিনি নিজের ওয়েটকে ধরে রাখবেন না মোটা হবেন তা সবটাই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এমনও তো হতে পারে হয়তো শ্রীতামা মুখ্য চরিত্র চান না তাই ইচ্ছাকৃত নিজের ওয়েট বাড়িয়েছেন যেমনটা করেছিলেন অনামিকা সাহা। বয়সে অনেক ছোট হওয়া সত্ত্বেও তিনি মা কাকিমাদের রোলে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন কারণ নায়িকাদের চরিত্রে তিনি অভিনয় করতে চান নি। তাই ইচ্ছাকৃত নিজের ওয়েট বাড়িয়ে নিয়েছিলেন কয়েকগুণ। হয়ত শ্রীতমাও তাই চান, না হলে মোটা ওয়েট নিয়ে ধারাবাহিকে নায়িকা হয় না এমনটা তো নয়, জি বাংলার রাধা ধারাবাহিক তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।