Advertisement
বিনোদন

তবে কি টিআরপি ধরে রাখতেই ধারাবাহিকে নতুন মোড় আনল গাঁটছড়া?

এক বিপদের হাত থেকে মুক্তি পেতে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করল ঋদ্ধি আর খড়ি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। এক বিপদের মধ্যে আরেক বিপদ আসছে বিশাল বড় ঝড় নিয়ে। প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে খড়ি সিংহ রায়ের উপর। খড়ির ওপর করা যাবতীয় অভিযোগ যদি সত্যি বলে প্রমাণিত হয় তাহলে হাজতবাস হতে পারে খড়ির।

খড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রথমে দত্তদের সাথে চুক্তি করে খড়ি। ওদের ডিজাইনার হয়ে ওদের সাথে কাজ করে ঠকাতে থাকে সিংহরায় জুয়েলার্সকে। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সিংহ রায় জুয়েলার্স এর থিম, গয়নার ডিজাইন সমস্ত কিছু তুলে দেয় প্রতিপক্ষ দত্ত জুয়েলার্স এর হাতে। এই অভিযোগ গ্রেপ্তার করা হবে খড়ি কে। কিন্তু সিংহ রায় জুয়েলার্সের ঋদ্ধিমান সিংহ রায় প্রাণপণ চেষ্টা করে নিজের স্ত্রীকে বাঁচাতে। কারণ সে জানে কে দোষী আর কে নির্দোষ। খড়ি যে একদম নির্দোষ সে কথা ঋদ্ধি খুব ভালো মতোই জানে। কিন্তু এই বিশ্বাসের কোন পাকাপোক্ত প্রমাণ নেই। আর তারপরে এই সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে ঘৃতাহুতি করছে রাহুল। খড়িকে ফাঁসানোর কোনরকম পথ সে ছাড়বে না।

যদিও খড়ি পাশে পেয়েছে তার স্বামীর ঋদ্ধিমান সিংহ রায়, দিদি দ্যুতি সিংহ রায়, শাশুড়ি মা মঞ্জিরা সিংহ রায় আর পরিবারের কয়েকজনকে। দুঃসময়ে বোনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দ্যুতি। এমন কি মঞ্জিরাও বৌমাকে কাঠগড়ায় তোলেনি। কারণ সে বিশ্বাস করে খড়ি এরকম করতে পারে না। যে খড়ি বারবার সিংহরায় পরিবারের বিপদে তাদের বাঁচিয়ে এসছে তাদের পাশে থেকে এসেছে সে কোনভাবেই বিশ্বাসঘাতকের কাজ করতে পারে না।

অন্যদিকে মধুজা ভাবে অয়নাকে বউ হিসেবে যখন মেনে নেওয়া হচ্ছে তাহলে ও বললে ওর বাবা সমস্ত রকম অভিযোগ তুলে নেবে। তাই মধুজা অয়নার কাছে গিয়ে অনুরোধ জানায় যে অয়না যেন তার বাবাকে অনুরোধ করে যে তিনি যেন সমস্ত রকম অভিযোগ খড়ির বিরুদ্ধে তুলে নেন। কিন্তু অয়না স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে খড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার জন্য সে তার বাবার কাছে অনুরোধ করতে পারবে না। কুনালের হবু স্ত্রী অয়নার এই ব্যবহার অর্থাৎ দুঃসময়ে পরিবারের লোকেদের পাশে না দাঁড়ানো দেখে নিজের সিদ্ধান্তে আফসোস করতে থাকে মধুজার। তার বারবার মনে পরতে থাকে বনির কথা।

অন্যদিকে খড়িকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। ঋদ্ধিমান সিংহ রায় যায় তাদের সাথে। এই বিপদের সময় সে কোনমতেই নিজের স্ত্রীকে একা ছাড়বে না। পাশে থাকবে খড়ির। একসাথে লড়বে তারা এই যুদ্ধ। কিন্তু প্রমাণ কোথায় খড়িকে নির্দেশ প্রমাণ করার? এমনকি রাহুল, কিয়ারা, অয়না আর দত্তবাবুর বিরুদ্ধে ও প্রমাণ সাব্যস্ত করতে পারছে না তারা। এরমধ্যেই খড়ি খুব ভেবেচিন্তে কিছু একটা বুদ্ধি বার করে। আর বলে ওঠে আসল সত্যি সে বার করাবে অয়নার মুখ থেকে। এবার শুধু দেখার পালা গল্পের মোড় কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.