Advertisement
বিনোদন

Tv Serial : এবার ট্রোলের মুখে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক

এই মুহূর্তে সমাজ থেকে উঠে আসে কাহিনীরা। ইদানিংকালে সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ ও সেপারেশনের মাত্রা যতটা বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় বেড়েছে নায়কদের পরকীয়া। ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজে অন্য বার্তা দেওয়া হলেও টেলিভিশন সিরিয়াল বদলাতে পারছে না তার ধাঁচ। যতই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকাদের একাংশ বলে থাকুন, এই নতুন মোড় না এলে কাহিনী একঘেয়ে হয়ে যাবে, বাস্তব জীবনে টেলিভিশনের ওপারে যখন তাঁরা দর্শকের ভূমিকায় থাকেন, কোথাও কি তাঁদের মনে হয় না, তাল কেটে গেল!
প্রসঙ্গত একসময় ‘চেনা অচেনা’, ‘সোনার হরিণ’-এর মতো বিখ্যাত ধারাবাহিক কিন্তু লিখেছিলেন লীনাই। কিন্তু হঠাৎই বড্ড বেশি বদলে গিয়েছে তাঁর লেখার ধাঁচ। অচেনা হয়ে গিয়েছেন লীনা। বর্তমানে তাঁকে ট্রোল করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু একসময় লীনার বলিষ্ঠ লেখনীর কারণেই ‘সোনার হরিণ’ তৈরি করেছিল রেকর্ড। বর্তমান লীনা লিখিত চিত্রনাট্য অনুযায়ী ‘গুড্ডি’-র অনুজ এবং ‘ধুলোকণা’-র লালন খুব সহজেই ভুলে যেতে পারে তাদের প্রেমকে। তারা জড়িয়ে পড়তে পারে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে। ‘ধুলোকণা’-য় তিনবার লালনের বিয়ে, ‘গুড্ডি’-তে অনুজ ও নায়িকাদের শারীরিক দৃশ্য, রাত কাটানোর অনুরোধ রীতিমত চমকে দিয়েছে দর্শকদের।
সম্প্রতি ক্ষুব্ধ দর্শকরা চাইছেন, এই সিরিয়াল দুটি বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু এত বিতর্কের পরও ‘ধুলোকণা’ বেঙ্গল টপার। প্রশ্ন জাগতে পারে, দর্শকরা যদি সত্যিই ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা এখনও এই ধারাবাহিকটি দেখছেন কেন! দিনের শেষে দর্শকদের একাংশ সামান্য আশা নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসেন, হয়তো বা আবারও মূল কাহিনীর স্রোতে ফিরবে ধারাবাহিক! কিন্তু তা হয় না। অচিরেই লালন ও অনুজ তাঁদের কাছে চরিত্রহীন হয়ে যায়। দর্শকদের একাংশ মনে করেন, এই ধরনের কাহিনী সমাজের উপর খারাপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.