প্রসঙ্গত গায়িকা জোজো-কে কোনোদিনই তাঁর অতিরিক্ত ওজন নিয়ে লজ্জিত বোধ করতে দেখা যায়নি। তিনি ওজন কমানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা তা জানা যায় না। তবে একবার ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে নিজের ওজন নিয়ে রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)-র সাথে মজা করতে ছাড়েননি জোজো।
সম্প্রতি রচনাই অবশ্য কথাটি প্রথম তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কুড়ি-বাইশ বছর আগের জোজোর সাথে বর্তমানের জোজোর অনেক পার্থক্য রয়েছে। জোজো তো শুনেই বলে ফেললেন, তিনি বাড়ি যেতে চান। ওদিকে তখন মঞ্চে হাসির তুফান। জোজো নিজেও হাসছেন। তিনি জানালেন, ওজন বাড়ার কারণ হল বিরিয়ানি যা বাদ দিতে পারবেন না তিনি। তবে মজা করতে ছাড়লেন না গায়িকা নিজেও। তিনি বললেন, মোটা নিয়ে তাঁর বক্তব্য রয়েছে। মেদিনীপুর, বহরমপুরে যখন জোজো শো করতে যান, তখন প্রচুর জনসমাগম হয়। তিনি যখন মঞ্চে গান করতে উঠবেন, তখন সামনের লোকটি তাঁকে মোটা ভাবলেও একদম পিছনের সারি থেকে তাঁকে কোয়েল মল্লিক -এর মতোই দেখাবে।
সম্প্রতি এটি যে সময়ের ভিডিও, তখন ইন্ডাস্ট্রিতে গান ও অভিনয় মিলিয়ে আটত্রিশ বছর পূর্ণ করে ফেলেছেন জোজো। গান প্রসঙ্গে তিনি বললেন, তাঁর বাবার মুখে শোনা, বাবা রেওয়াজে বসলে একরত্তি জোজো হামা দিয়ে গিয়ে বাবার কোলে বসে ‘সা’ বলতেন। তাঁর বাবার মনে হত, মেয়ে সুরের জগতেই যাবে। জোজোর দিদা বলেছেন, মা-বাবা অনুষ্ঠান করতে বেরিয়ে গেলে মেয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চিরুনিটি মাইক্রোফোন করে গান গাইতেন। অভিনয় ও গান দুই দিক শৈশব থেকেই দেখেছেন। ফলে দুই দিক মিলিয়েই তাঁর কেরিয়ার তৈরি হয়েছে। তবে মজা করে জোজো বললেন, বর্তমানে আফশোস হয় কোন হিরো তাঁকে তুলবে! এই কথা বলেই প্রাণখোলা হাসি হাসলেন জোজোও।