Advertisement
বিনোদন

‘জড়োয়ার ঝুমকো’র পর কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা শুভঙ্কর সাহা

অভিনেতা শুভঙ্কর সাহা, নামটা বোধ হয় বেশ ভালই চেনা লাগছে আপনাদের। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন “জড়োয়ার ঝুমকো” ধারাবাহিকের যিনি নায়ক হয়েছিলেন তিনি এই শুভঙ্কর। অভিনেতা দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী ঠিক তাঁর মায়ের মতই ভালো। কথায় আছে প্রত্যেক ছেলে তাঁর স্ত্রীর মধ্যে নিজের মায়ের রূপ দেখতে চায়। তারা চায় তাদের স্ত্রী ঠিক তাদের মায়ের মতই হোক। সেখানে অভিনেতা সোজাসুজি দাবি করেন তার স্ত্রী মায়ের মতই ভালো। এখনকার দিনে যেখানে সম্পর্ক শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ভাঙন ঘটে। আর একে অপরের প্রতি কাগা ছোড়াছুড়ি শুরু হয় সেখানে অভিনেতার এরূপ মন্তব্য বেশ প্রশংসনীয়। তবে অভিনেতা কিন্তু এমনি এমনি তার স্ত্রীর এত বড় প্রশংসা করেননি। এর পেছনে রয়েছে বেশ বড় কাহিনী।

অভিনেতা শুভঙ্কর টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠতে খুব বেশিদিন সময় নেননি। “তুমি রবে নীরবে” এবং “জরোয়ার ঝুমকো”র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক রয়েছে অভিনেতার ঝুলিতে। নিজের অভিনয় দক্ষতার মধ্যে দিয়েই অল্প কয়েক দিনের মধ্যে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনেতার জীবনে আসে চরম বিপত্তি। হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। এমনকি মদাশক্ত হয়ে দীর্ঘদিন কাজের জগতের থেকে দূরে সরে যান তিনি। অভিনেতা এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকতেন যে মদ তাঁর জীবনের পিছুটান হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন নিজের কাজের জীবনে ফিরে আসতে পারেননি অভিনেতা।

অভিনেতার জীবনের সাফল্য তাঁকে একটা একটা সিঁড়ি করে আকাশ ছুঁয়ে দিচ্ছিল। কর্মজীবনে প্রত্যেক দিন একটু একটু করে সাফল্য অর্জন করলেও ব্যক্তিগত জীবনে কালো মেঘ নেমে আসে। প্রথমে নিজের দিদিকে আকস্মিক মৃত্যুতে হারান অভিনেতা। আবার এর কিছু দিনের মধ্যেই অভিনেতার জীবনের শেষ অবলম্বন তাঁর মায়ের ও মৃত্যু ঘটে। মায়ের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে অভিনেতার বাবারও। একের পর এক এতগুলি ঘটনায় নিজের পরিবারের সদস্যদের একের পর এক হারিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। এমনকি মদের নেশায় দিন দিন ডুবে যান তিনি।

এই মদের নেশা তাঁকে ধীরে ধীরে ঠেলে দেয় অসুস্থতার দিকে। নার্ভের অসুখ শুরু হয় অভিনেতার। পর পর দিদি, মা, বাবার মৃত্যু যন্ত্রণা নিতে পারছিলেন না অভিনেতা। এমনকি একের পর এক পারিবারিক সদস্যদের মৃত্যু অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ ভালো বড় রকমের প্রভাব ফেলে। এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি যে নিজের বাকি কাছের মানুষদেরও চিনতে পারতেন না। নিজের জীবনের এরকম চরম কঠিন পরিস্থিতিতে অভিনেতা একমাত্র পাশে পেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীকে। একটা নয় একের পর এক সাতটা রিহ্যাবে ভর্তি করানো হয়েছিল অভিনেতাকে। চিকিৎসার দরুন ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করেন অভিনেতা। সেই সময় অভিনেতা তাঁর বাড়ির মানুষদের কাছে ফিরে আসার জন্য তীব্র বাসনা পোষণ করতেন। যার কারণে চিকিৎসার প্রত্যেকটি পর্ব বেশ নিয়ম মেনেই পালন করেছেন তিনি। স্ত্রীর সাথে নিজের জীবনের লড়াই জয় করে আবার কাজের জগতে ফিরেছেন অভিনেতা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.