সুদীপা চ্যাটার্জি, জি বাংলার জনপ্রিয় নন ফিকশন শো রান্না ঘরের সঞ্চালিকা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। তবে নিজের অহংকারী মনোভাবের জন্য বারবার দর্শকদের সামনে ট্রল হতে হয় তাঁকে। কিছুদিন আগেই একবার ডেলিভারি বয় কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম ট্রল হয়েছিলেন সঞ্চালিকা। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার সদস্যরাই নয় সঞ্চালিকা নিজের ইন্ডাস্ট্রির বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী বিরোধিতা করেছিলেন সঞ্চালিকার ওই মন্তব্যের। বুধবারও এমন একটি ঘটনা ঘটলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। আবার নিজের মন্তব্যের জেরে ট্রল হতে হলেও সুদীপাকে। ঘটনাটা শুরু হয় দুর্গাপুজোর ছবি নিয়ে। প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও সঞ্চালিকা সুদীপার বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দেবী দুর্গার আরাধনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন টলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। মহা নবমীতে সঞ্চালিকা সেজেছিলেন গাঢ় সবুজ রঙের তসরের বেনারসিতে। আর তার সাথে ভারী সোনার গয়না। পুরো বিষয়টি নিজের বুটিক এবং নিজের ব্যবসারই অংশ হিসেবে প্রচারও করেছেন সঞ্চালিকা। এই প্রচার নিয়েই শুরু হয় যত বিপত্তি।
সঞ্চালিকা মহানবমীতে ঠিক যেমন সেজে উঠেছিলেন তাঁর বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবিগুলি পোস্ট করে সঞ্চালিকা ক্যাপশনে লেখেন, “আমার নবমী লুক অনেকেই পছন্দ করেছে, এবার আমি এই লুক তৈরি করব আপনাদের জন্য। যেটা হতে পারে দিওয়ালি লুক। একটি তসর বেনারসি শাড়ি ও সঙ্গে দুটো নেকলেসের সেট যেটা ব্রোঞ্জ ও তামা দিয়ে তৈরি, সোনার পালিশ (আমারটা যদিও সোনার, মাত্রাতিরিক্ত দামি)। তবে ডিজাইন ও মেকিং একই হবে কারণ দুটোই একই দক্ষিণ ভারতীয় কারিগরকে দিয়ে তৈরি হবে”।
যদিও সঞ্চালিকার এই ধরনের পোস্ট ভালোভাবে নেয়নি সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই তীব্র কটাক্ষ করেছে এই কথার। কমেন্টে একজন লিখেছেন, “দিদি সোনা কেনবার ক্ষমতা আপনার একার নেই, সারাক্ষণ এমন দেখনদারির দরকার নেই”। আরেকজন নেটিজেন লেখেন, “তা পুজোর সময় আপনি তো বেশ কিছু নকল গয়না পরেছিলেন, সেগুলো নিয়েও একটু কথা বলুন না”। আরো একজন নেটিজেন লেখেন, “সবাই তো আপনার মতো হঠাৎ করে বড়লোক হয়নি, তাই শো-অফের দরকার পড়ে না”। সুদীপার “নৈতিক শিক্ষার অভাব” রয়েছে এমনও কথা বলে কটাক্ষ করা হয়েছে সুদীপাকে।
আসলে বিষয়টি হয়তো এমন হতো না। যদি না সঞ্চালিকা শাড়ি আর গয়নার প্রচার করার জায়গায় আলাদা করে ব্র্যাকেট করে না বলতেন যে তাঁর গয়নাটা পুরোটাই সোনার এবং মাত্রাতিরিক্ত দামি। সঞ্চালিকার এই মন্তব্য অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেননি। যদিও প্রত্যেক বারের মতো সুদীপা এইবারেও সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে কি বলছেন সে বিষয়ে কর্ণপাত করেননি। উল্টে সঞ্চালিকা বলেন, “আমি এই বিষয় গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাই না। কারণ এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। কোনও তথ্য সূত্র নেই। এমনকী আমার কাছে এই ধরণের কোনও খবর নেই। আর জি বাংলার তরফেও এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আমার ধারণা তাঁদের কাছেও এ ধরণের কোনও খবর নেই। যাঁরা এই ধরণের ভুয়ো খবর প্রচার করছেন তাঁরা নিজেদের পাবলিসিটির জন্য করছেন”। যদিও আমাদের পক্ষ থেকেও এই খবরের কোনো সত্যতা যাচাই করা হয়নি।