Advertisement
বিনোদন

জানুন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া গল্প

তিনি টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি ম্যান। যে সময়টাতে বাংলার দর্শক মুখ ফিরিয়েছিলেন সিনেমা হল থেকে সেই সময় তিনি একা কাঁধে বয়ে নিয়ে গিয়েছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে। তার উপর ভর করে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘরে তুলেছেন প্রযোজকরা। রোজগারের সুযোগ পেয়েছেন সিনেমা হলের মালিক থেকে হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ঘুগনি বিক্রেতাও। আজ তিনি যে জায়গায় পৌঁছেছেন তার জন্য তাকে করতে হয়েছে অসম্ভব সংঘর্ষ। বাবা নামকরা অভিনেতা হলেও বিন্দুমাত্র সুযোগ তিনি তার কাছ থেকে পাননি। বরং উল্টোটাই হয়েছে। প্রতিবার বাবাকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হয়েছে তাকে। আমরা কথা বলছি বাংলা সিনেমার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। আজ তিনি পা দিলেন ৬০ এ।

বর্তমান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের সাথে তার শুরুর দিকের অভিনয়ের সেই অর্থে কোন মিল নেই। শুরুর দিকে তিনি ছিলেন ছটফটে ও প্রাণোচ্ছল এক যুবক। বাংলার মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছিলেন “পসেনজিত।”

৯০ এর দশক থেকে ক্যারিয়ার শুরু করা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ধীরে ধীরে তার খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছান। সেই সময়ের অন্যতম ব্যস্তনায়ক ছিলেন তাপস পাল। তাকে রীতিমত টক্কর দিতে হতো প্রসেনজিৎ কে। প্রথমদিকে মূল কমার্শিয়াল সিনেমায় অভিনয় করলেও ধীরে ধীরে তিনি ঝুঁকতে থাকেন অন্য ধারার ছবিতে।

সৃজিত মুখার্জির প্রথম ছবি ‘ অটোগ্রাফ ‘ প্রসেনজিতের জীবনে একটি মোর ঘোরানো অধ্যায়। এই ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গ্রাম বাংলার মানুষের সাথে সাথে তিনি শহরের হাই ক্লাস ফ্যামিলির ড্রয়িং রুমে ঢুকে পড়েছিলেন।

অটোগ্রাফের আগেও প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণ ঘোষের কিছু ছবিতে অভিনয় করেন যা তাকে এক অনন্য অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘উৎসব’, ‘চোখের বালি’, ‘দোসর’, ‘খেলা’, ‘দ্য লাস্ট লিয়র’ ছবিতে নিজের জাত চিনিয়েছেন টলিউডের বুম্বাদা।

এরপর নিত্যনতুন অন্য ধারার ছবিতে নিজেকে তুলে ধরতে থাকেন প্রসেনজিৎ। গ্রাম, মফস্বল থেকে শহরের এলিট ক্লাস ফ্যামিলি, সবার কাছেই তিনি হয়ে ওঠেন প্রিয় অভিনেতা। আজ তার জন্মদিনে রইল আমাদের একরাশ শুভেচ্ছা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.