ইদানিং ঐশ্বর্য রাই বচ্চন -এর ‘ডোপলগ্যাঙ্গার’-এর ভরে গিয়েছে নেটদুনিয়া। এর একটি বড় কারণ হল ঐশ্বর্যর মুখের আদল যা অধিকাংশ ভারতীয় মেয়েদের মধ্যেই দেখা যায়। এছাড়াও ঐশ্বর্যর মতো মেকআপ করে অনেকেই তাঁর অনুকরণ করতে চান। এইরকম একজন মহিলা হলেন কবিতা বিশ্বাস। কবিতা নিতান্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে। পেটের দায়ে তাঁকে রাজমিস্ত্রীর কাজও করতে হয়। গরিব ঘরের মেয়ে হলেও কবিতা ক্রমশ বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি কিছুটা হলেও ঐশ্বর্যর মতো দেখতে। ফলে নিজের একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছেন কবিতা।
তবে সেই ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বলিউডের হিন্দি ফিল্মের গান ও সংলাপের সাথে ইন্সটাগ্রাম রিল বানান কবিতা যেগুলি যথেষ্ট ভাইরাল হয়। শুধুমাত্র ইন্সটাগ্রাম রিলেই সীমাবদ্ধ থাকেননি কবিতা। তিনি নিজের প্রতিদিনের জীবন সংগ্রামের কথাও তুলে ধরেন ভিডিওর মাধ্যমে। তাঁর প্রত্যেকটি ভিডিও প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক লক্ষ লাইক পায়।
কিন্তু এভাবে ঐশ্বর্যর ‘ডোপলগ্যাঙ্গার’ হয়ে কতদিন জীবন কাটাবেন কবিতা? তাঁর বয়স বাড়তে বাড়তে একটা সময় চেহারার আদলেও আসবে পরিবর্তন। সেই সময় যদি তাঁকে ঐশ্বর্যর মতো দেখতে না লাগে তখন সরে যাবেন অগণিত ভক্তের দল যাঁরা তাঁকে ঐশ্বর্যর ডোপলগ্যাঙ্গার মেনে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।
কবিতা নিজেই যথেষ্ট সুন্দরী। তিনি অবলীলায় নিজের মতো করে, কারও ডোপলগ্যাঙ্গার না হয়ে বাঁচতে পারেন। এটাই হবে তাঁর নিজস্ব অস্তিত্ব।